আসন্ন দ্বিতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সাজ সাজ রব উঠেছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিক অঞ্চল বেনাপোলে। ইতোমধ্যে একাধিক মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে নিজেদেরকে আত্মপ্রকাশ করছেন। তাদেরই একজন পৌর মেয়র পদপ্রার্থী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সফল সভাপতি মফিজুর রহমান সজন। বেনাপোল পৌরসভার উন্নায়নে পৌরবাসিকে একটি আধুনিক মানের মডেল পৌরসভা উপহার দিতে তিনি পৌরবাসিকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। মেয়র প্রার্থী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার প্রচারণার ঝড় তুলতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন মফিজুর রহমান সজন সহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী। সব মিলিয়ে পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে বেনাপোল পৌর এলাকায় জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া।
এ বিষয়ে বেনাপোল পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী মফিজুর রহমান সজন বলেন, পৌরবাসি আমাকে সমার্থন করলে বেনাপোলে একটি আধুনিক মানের মডেল পৌরসভা উপহার দিতে চাই। বেনাপোল বাসির দীর্ঘ দিনের চাওয়া পাওয়া ও অসামাপ্ত কাজ করে পৌরবাসির স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। পাশাপাশি বেনাপোল বন্দরের পেট্রাপোল সাইডে ইন্ট্রিগেটেড চেকপোস্ট (টার্মিনাল) উদ্বোধনের সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উপস্থিতিতে বেনাপোল বন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন ও অনুন্নয়নের কর্মকান্ড তুলে ধরি। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই সমস্ত অবকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস দেন। একই সাথে এ সমস্ত নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং চলমান আছে।
উল্লেখ্য :
২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বেনাপোলকে পৌরসভা ঘোষণা করে। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতা আশরাফুল আলম লিটন মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বেনাপোল পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা ঘোষণা করে সরকার। এরপর ১২ জানুয়ারি ২০১৬ সালে তার মেয়াদ শেষ হয়। নেয়া হয় নির্বাচনের উদ্যোগ। তখন সীমানা জটিলতার মামলা দায়ের করা হয়। ফলে পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত হয়ে থাকে দীর্ঘদিন। এভাবে চলার পর স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৮ এর সংশোধনক্রমে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) সংশোধন আইন,২০২২এর ধারা ৪ অনুযায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণ বেনাপেলের পৌর পরিষদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ২০০৯ এর ধারা ৪২ এর সংশোধনক্রমে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা)সংশোধন আইন ২০২২ এর ধারা ৯ অনুযায়ী ২০২২ সালের ৫ মে বেনাপোল পৌরসভায় ছয় মাসের জন্যে প্রশাসক নিয়োগ করা হয় । কিন্তু আবারো সেই সীমানা জটিলতার নাম করে পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ রয়েছে।
একনজরে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন এর হাত ধরে উল্লেখযোগ্য কিছু উন্নয়ন:
১। বেনাপোল উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি (২) ১/১১ এর সময় বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন। (৩) বেনাপোল স্থল বন্দর গঠন। (৪) বেনাপোল পৌরসভা গঠন। (৫) বেনাপোল কাস্টমসের ভিত্তি স্থাপন সহ কাস্টম হাউসে উন্নতি করন। (৬) বেনাপোল রেল লাইন চালু করা। (৭) বেনাপোল রেল আই সিডি চালু করা, চেকপোষ্ট গেট,প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল সহ অসংখ উন্নায়ন মূলক কাজে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের ৮বছর সফল সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে বন্দরে ১০০ একর জমি অধিগ্রহন করে আন্তর্জাতিক আধুনিক মানের স্থল বন্দরে রুপদান করা। বাইপাস সড়কের দক্ষিন পাশে ১৭৫ একর জমির উপরে বেনাপোল স্থল বন্দরের ইউনিট-২ সহ রেল আইসিডি টার্মিনাল করতে পরিকল্পনা দিয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।